আবরার হত্যা মামলায় হাইকোর্টের চূড়ান্ত রায়: ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন

চার বছর পর অবশেষে প্রকাশিত হলো বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়। হাইকোর্টের রায়ে বহাল রাখা হয়েছে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
২০২৪ সালের ১৬ মার্চ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের শুনানি শেষে এই রায় দেওয়া হয়।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে। ঘটনার পরদিন চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন আবরারের বাবা। পরে ১৩ নভেম্বর বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করে। ট্রাইব্যুনালের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, আসামিরা শিবির সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে পরিকল্পিতভাবে ও পারস্পরিক সহযোগিতায় আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে।
দণ্ডপ্রাপ্তদের নামের তালিকা
মৃত্যুদণ্ড (২০ জন)
মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার (অপু), মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মাজেদুর রহমান মাজেদ, মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম তানভীর, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, শামীম বিল্লাহ, নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মুনতাসির আল জেমি, শামসুল আরেফিন রাফাত, মিজানুর রহমান, মাহমুদ সেতু, মোর্শেদ‑উজ‑জামান মণ্ডল, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মুজতবা রাফিদ
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (৫ জন)
মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, আকাশ হোসেন, মুয়াজ আবু হুরায়রা, অমিত সাহা, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না
উল্লেখযোগ্য: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের একজন মুনতাসির আল জেমি ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যায়।
আবরারের মৃত্যুর পর বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতার বিরুদ্ধে এই রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হয়ে থাকলো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মন্তব্য করুনঃ
মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)